স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রয়োজনে সারাদেশে লকডাউন করতে স্বাস্থ্য বিভাগ সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করবে সরকার। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে আবার লকডাউন দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের প্রয়োজন হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ( ১৮ মার্চ) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, লকডাউনের চিন্তা আমরা না, এটা সরকার করে। সরকারের সকল সংস্থা মিলেই বসে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আমরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি এখন সরকার সেটা ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেবে।

একইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, তিনি চান দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকুক, ভালো থাকুক। একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণও যেন না বাড়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের প্রয়োজন হবে না।

এদিকে, গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিনি কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

তার মধ্যে একটি ছিল,সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যেকোনও জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এসব প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক বলেন, কোনও মানুষ যেন মৃত্যুবরণ না করে আমরা সেটাও চাই। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে আমাদের। বিভিন্ন জেলায় নির্দেশনা দিয়েছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। হাসপাতালগুলো আমরা প্রস্তুত করছি। যদি আমরা সবাই নিয়ম মেনে চলি তাহলে আশা করছি লকডাউনের প্রয়োজন হবে না। সব কাজই আমরা সুন্দরভাবে করতে পারব।

নারী দিবস উপলক্ষে ১২ নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে সম্মাননা দেয় অ্যাসোসিয়েশন ফর গ্রাসরুটস উইমেন এন্টারপ্রেনারস বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সামনের সারিতে থেকে কাজ করার জন্য এই সম্মাননা পান ৯ জন নার্স এবং ১ জন মিডওয়াইফারি।

অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার, ইইউ ফান্ডেড প্রিজম প্রোজেক্টের এর টিম লিডার আলী সাবেত এবং এজিডব্লিউবির সভাপতি মৌসুমী ইসলাম প্রমুখ।